7 Key Element of Story Structure – Part 1 | Filmmaking | Bangla

জানুয়ারি 14, 2022 9:11 পূর্বাহ্ন    admin

7 Key Steps of Story Structure – John Truby:

2:10 1. Weakness and Need:
গল্পের শুরুতে নায়কের এক বা একাধিক দূর্বলতা থাকে। একটা দোষ, তাকে ভালো মানুষ হওয়া থেকে আটকে আস্তে আস্তে তাকে খাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এটা সে না শুধরায় তাহলে সে এক রাক্ষসে পরিণত হবে।

তার এই দোষ দু রকম হুতে পারে।
2:56 সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম – নায়কের সেই দোষ যেটা শুধুমাত্র তাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
3:02 মোরাল প্রবলেম – তার সেই দোষ যেটা বাকিদের জীবনে প্রভাব ফেলছে বা ক্ষতি করছে।

নিড – তার কিছু প্রয়োজন যার মাধ্যমে তার এই দূর্বলতা সে কাটিয়ে উঠতে পারে আর একজন উত্তর মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নিডও ২ প্রকারঃ সাইকোলজিক্যাল আর মোরাল।

সাধারণত একটা গল্প শুরু হয় একটা ক্রাইসিস, সঙ্কট দিয়ে, যে সম্বন্ধে নায়ক অবগত কিন্তু জানেনা সমাধান কীভাবে পাওয়া যাবে। এই সঙ্কট থেকেই আমরা নায়ককে বুঝতে পারি, তার দূর্বলতাগুলো জানতে পারি।

যেমন,
অপুর সংসারঃ অপু গরীব। টাকার অভাবে গ্রায়জুয়েশানও হল না। বাড়িওয়ালা উঠতে বসতে খেদানোর ভয় দেখাচ্ছে। টিউশনি করে চলছে কোনো মতে। দায়িত্ববোধ নেই।
যাই হোক, তার প্রয়োজন পালিয়ে না বেরিয়ে দায়িত্ববান হওয়া। নাহলে তার প্রভাব ছেলের ওপর পড়ছে। ছেলের দায়িত্ব নেওয়া মোরাল নিড।

নাগরিকঃ বাজারে চাকরির সঙ্কট। অথচ ইন্টারভিউ দিতে না দিতেই রামু ভাবছে চাকরি পাকা, বাড়ি-গাড়ি – এই বাস্তবের মাটিতে এত সহজে বড়লোক হওয়ার রঙিন স্বপ্নে ওড়া ওর দূর্বলতা। সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম। বাবা এই কথাটাই বললেন। আর এটাই গল্পের থিম।
আর মোরাল প্রবলেম হচ্ছে সংসারের দায়িত্ব নেয় না সেই রকম। সারাদিন ঘুরে বেরায়। বোনেরও বাড়ি থেকে বেরোনো উচিৎ ছিল। জনসংখ্যার অর্ধেক ঘরে বসে থাকবে সেতো ভালো কথা নয়। আর এই সাধারণ প্রয়োজনগুলো যেহেতু পূরণ করতে পারছে না তাই দরকার সরকারকে প্রশ্ন করা। সেই দায়িত্বও রামু নিচ্ছে না, মিছিলেও যাচ্ছে না। শুধু হবু জামাইবাবুকে খোঁচাচ্ছে।

সাইকোলজিক্যাল নিড নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে বন্ধুদের সুপারিশ ছাড়াও চাকরির চেষ্টা করা।

মোরাল নিড, দায়িত্ব নেওয়া, সংসারেরও, সমাজেরও। সে নাগরিক, নাগরিকের জন্য রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক। তাই সচেতন নাগরিকের মতো রাষ্ট্রের প্রতি দায় তাকে নিতেই হবে।

চ্যাম্পঃ সঙ্কট বক্সার হওয়ার অনুকুল পরিবেশ নেই। সে গরীব, টাকা নেই, ফান্ড পাচ্ছে না, সমর্থন পাচ্ছে না। বক্সার হয়ে কিছুদিন মজা, আবার সাজা। আবার টাকা নেই। হেমা মালিনীর ফিলিংস বোঝে না। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ানশিপের চেয়ে স্পনসরশিপ, হানিমুন বড় হল। স্টারডম, সাফল্য হ্যান্ডেল করতে পারছে না। সেলফ অবসেসডও বটে।
সাইকোলজিক্যাল নিড ইগো ভুলতে হবে।
মোরাল নিড, দায়িত্ববোধ।

8:28 2. Desire:
ডিজায়ার হল নায়কের চাহিদা, গোল, লক্ষ্য, যার তাগিদেই সে তার দূর্বলতা কাটিয়ে এক বিশেষ অভিমুখে এগিয়ে গিয়ে সেই মতো কাজ করতে হয়, মানে বসে বসে ভাবলে হবে না যে পেলে কী ভালো হতো। অ্যাকশান নিতে হবে। আর গল্পটা তৈরি হবে। অর্থাৎ এই আকাঙ্ক্ষাই গল্পের চালিকা শক্তি, আকাঙ্ক্ষা না থাকলে গল্পটাই হত না।

যেমন,
চ্যাম্পঃ স্বপ্ন চ্যাম্পীয়ান হওয়ার। এশিয়া, ওয়ার্ল্ড। পুরো সিনেমা জুড়ে তার চ্যাম্পীয়ান হওয়ার গল্পই পড়লাম, দেখলাম।

অপুর সংসারঃ চাহিদা একটা চাকরি। ইন্টারমিডিয়েট দিয়ে না পাবে শিক্ষকতার কাজ, না করবে লেবেলিং। সে না হলেও চাপ নেই। তার আসলে স্বপ্ন একটা উপন্যাস বের করার। উপন্যাস তো না, আত্মজীবনী।

নাগরিকঃ চাহিদা, ঐ চাকরি। উমা। বড় বাড়ি। ছোট সংসার। ক্যালেন্ডারের মতো একটা স্বপনের জীবন।

10:11 3. Opponent:
আচ্ছা অনেক ছবিতেই অপোনেন্টকে দেখানো হয় এক দানব হিসেবে। হিহাহা করে হাসতে হাসতে আসছে আর নায়কদের গ্রাম ছারখার করে দিচ্ছে। এরকম কিন্তু বাস্তবে হয় না। সব কিছুরই কারণ থাকে। তার কোনো লাভ না থাকলে এমনি এমনি গ্রাম জ্বালাতে আসবে না।
আসলে অপোনেন্ট, খলনায়ক, শত্রু হচ্ছে নায়কের পথে বাধা। বাধা কেন, কারণ সেও ঐ একই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। চাকরিতে একটাই পদ খালি, ক আর খ তার জন্য লড়ছে বা দুজনের ১০০ মিটার ফ্ল্যাট রেসে দৌড়াচ্ছে ফার্স্ট হবে বলে। ক-এর দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখলে ক নায়ক, খ অপোনেন্ট, আবার খ এর দৃষ্টিভঙ্গীতে ক খলনায়ক। দুজনেই কিন্তু তাদের জায়গায় ঠিক আছে। যেহেতু পদ একটাই তাই এই কনফ্লিক্ট। নাহলে কারও দায় পড়েনি একটা চেয়ার রাখা আছে হিহাহা করে এসে চেয়ারটা ভেঙে ফেলবে নায়ককে বসতে দেবে না বলে। একটা গল্পে এরকম অনেক অপনেন্ট থাকতে পারে, তবে সবচেয়ে বড় শত্রুর সাথে সম্মূখ সমরে একেবারে শেষে হয় সাধারণত। তাকে হারাতে পারলেই ডিজায়ার হাতে।

চ্যাম্পঃ সাংবাদিক, নিউজ চ্যানেল যারা স্টারডমে টিআরপি কামায়, সাপোর্ট করাতে নেই, বক্সিং রিং-এর প্রতিযোগীরা। তাই বলে জোর করে অপনেন্ট বানালে চোখে লাগে। সাংবাদিক সান্তনুর এত শিবাজির ওপর এত বিরূপতা ন্যাচারাল লাগে না। যদিও উনি ফেক অপোনেন্ট। নতুন বক্সার প্রশান্ত সিং এসে ধাক্কাধাক্কি করছে, মাটিতে পুঁতে দেবে বলছে এসব ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয়। বাকিও রুমাল পেতে টাকা নেওয়ার সিনেও সবাইকে জোর করে অপনেন্ট বানানো। ঐ হিহাহা দানব। তো এরকম অপনেন্ট তো অনেক আছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপনেন্ট, অ্যান্টাগনিস্ট, যে নায়কের লক্ষ্যের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা, সেও ঐ একই লক্ষ্য, চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দৌড়াচ্ছে, ইভান টেরি জোবস, শেষের লড়াকু, একমাত্র যাকে হারাতে পারলেই শিবাজীর চ্যাম্পিয়ান হওয়া সম্ভব হবে। সে রাক্ষস? মোটাই না। তার ভাই-বোনের কাছে সে নায়ক, শিবাজী অপোনেন্ট।

অপুর সংসারঃ বাড়ির মালিক, শ্বশুর, বন্ধু পুলু, এমনি ছেলেও।

নাগরিকঃ বাবা। হবু জামাইবাবু, সাগর সেন, ইন্টারভিউইরা, যারা চাকরিতে নিচ্ছে না, তাদেরও নিজেদের না নেওয়ার কারণ আছে, কিন্তু আমাদের নায়কের দৃষ্টিকোণে তারাও অ্যান্টাগনিস্ট, অপনেন্ট। যতীন দা, যে এক কাঁড়ি কথা পারার পর এক নয়া পয়সা চায় সেও একরকম অপনেন্টই। আর সবচেয়ে বড় অপনেন্ট? দারিদ্র আর রাষ্ট্রব্যবস্থা, যে ব্যবস্থা চাকরি দিতে পারে না, খাবার, বাসস্থানের অধিকার পূরণ করতে পারে না। তাকে হারাতে পারলেই সমস্ত সমস্যার অবসান হবে।



Posted By: admin